Thursday 31 May 2018

ছড়াঃ- ১৬

ক্ষমা কর তারে
কিশোর দুলাল রায়

 ক্ষমা কর হে প্রভু ক্ষমা কর
পূর্ণ কর তাহার পৃথিবী
কবিতা ছড়ার ছন্দে ছন্দে যিনি
এঁকেছেন দেশের ছবি ।
ক্ষমা কর হে প্রভু ক্ষমা কর
কর তাহারে স্বর্গবাসী
শান্তি প্রিয় মানুষ তিনি
ছিলো মুখে সদাই হাসি ।
ক্ষমা কর হে প্রভু ক্ষমা কর
কর তাহার আত্মার শান্তিদান
আজ নীরব যে কবি
ছিলো সে দেশের গর্বিত প্রাণ ।
ক্ষমা কর হে প্রভু ক্ষমা কর
কর তাহার জীবনের আসান
সে আমাদের প্রিয় কবি
শামসুর রহমান ।।


 বিঃ দ্রঃ ২৮শে আগষ্ট ২০০৬ইং দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকায় প্রকাশিত ।

ছড়াঃ-১৫

কুটুমের বিয়ে
কিশোর দুলাল রায়

কুটুম পাখির বিয়ে হবে
নামলো জোড়ে বৃষ্টি,
বর এলো যে মিষ্টি নিয়ে
হবে নতুন ইষ্টি ।
কুটুম ভাসে চোখের জলে
যাবে শ্বশুর বাড়ি,
টিয়ে দিলো মুক্তো-মালা
ময়না রঙিন হাড়ি ।
দোয়েল নাচে,কোয়েল নাচে
নাচে বাবুই,চড়াই,
মাছ-মাংস সব হচ্ছে রাধা
ভরে লোহার কড়াই ।
শালিক পাখি এলো উড়ে
কোকিল গাইছে ডালে,
বিয়ে বাড়ির ব্যস্ত সবাই
নাচে গানের তালে ।।


বিঃ দ্রঃ এই ছড়াটি ২৭শে মে ২০০৭ইং দৈনিক আজকের কাগজ পত্রিকায় প্রকাশিত ।

অসাধারণ প্রতিভা লোকটার


ছড়াঃ- ১৪

আহাজারি
কিশোর দুলাল রায়

 ত্রিশ লক্ষ্য প্রাণের ত্যাগে
পেয়েছিলাম জয়,
এখন কেন বাংলাদেশে
সন্ত্রাসিদের ভয় ।
স্বজন হারা আহাজারি
হয়নি আজও পার,
গুলী খেয়ে মায়ের ছেলে
মরবে কতো আর ।
জীবন নিয়ে আর কতোকাল
চলবে এমন যুদ্ধ,
ছেলে হারা ব্যথায় কাতর
শেষ বয়সে বৃদ্ধ ।
মরণ খেলা এই দেশেতে
চলবে কতো ভাই,
স্বাধীন দেশে বুক ফুলিয়ে
আমরা চলতে চাই ।।

বিঃ দ্রঃ ডিসেম্বর ২০১০ইং জাহাঙ্গীর আলম জাহান সস্পাদিত আড়াঙ্গির ৮ম সংখ্যায় প্রকাশিত ।

Tuesday 29 May 2018

ছড়াঃ- ১৩

ভালোবাসি
কিশোর দুলাল রায়
 ভালোবাসি বাংলা ভাষা
বাংলা মায়ের কোল,
ভালোবাসি ছোট্ট শিশুর
আধো আধো বোল ।
ভালোবাসি ফুল ও পাখি
আমার সোনার দেশ,
ভালোবাসি সবুজ শ্যামল
সবুজ সমাবেশ ।
ভালোবাসি কৃষক ভায়ের
মিষ্টি মুখের হাসি,
ভালোবাসি সোনার ফসল
রাঁখাল ছেলের বাঁশি ।
ভালোবাসি দিবস ও রাত
রাতের জোনাক জ্বলা,
ভালোবাসি আমার মায়ের
বাংলা কথা বলা ।।


 বিঃ দ্রঃ এই ছড়াটি ২০০৮ইং বাংলাদেশ শিশু একাডেমির শিশু বইয়ে ফেব্রুয়ারীয় সংখ্যায় প্রকাশিত ।

ছড়াঃ-১২

চাঁদ তারা সূর্য
কিশোর দুলাল রায়

 রাত পেরিয়ে প্রভাত এলে
সূর্য ওঠে হেসে,
আঁধার নেমে সন্ধ্যা হলে
চাঁদ ওঠে ভেসে ।
অস্তাচলে শেষ হয়ে
চলে গেলে বেলা,
নিঝুম রাতে তারার সাথে
চাঁদ করে খেলা ।
মিটি মিটি তারা জ্বলে
দেখতে লাগে ভালো,
কোথা থেকে চাঁদটা পেল
এতো বেশি আলো ।
চাঁদে গ্রহণ লাগলে পরে
রাত হয়ে যায় কালো,
ভোর হলেই সূর্যি মামা
জ্বালায় আবার আলো ।।

বিঃ দ্রঃ ২০০৬ইং অন্যমাত্রা প্রকাশনার মাসিক মাত্রার কাব্যকথায় প্রকাশিত ।

ছড়াঃ- ১১

বীর প্রতীক
কিশোর দুলাল রায়

তোমরা তো বেঁচে থাকবে
তোমাদের কাজে,
তোমরাই আছ মানুষের
হৃদয়ের মাঝে ।
লড়াই করে গেছো
উঁচু করে শির,
তোমরা ছিলে বাংলাদেশের
মুক্তিযোদ্ধা বীর ।
বুক পেতে নিয়েছিলে
বুলেটের গুলী,
দিয়ে গেছো স্বাধীনতা
আরও বাংলা বুলি ।
তোমরা ছিলে এ দেশের
সাহসী সৈনিক,
তোমাদের স্মরণ করি
আমরা দৈনিক ।
থাকবে তোমরা চিরদিন
লাখো জনতার ভিড়ে,
শোক দিবস হয় পালন
তোমাদেরকে ঘিরে ।।


 বিঃ দ্রঃ এই ছড়াটি ১৫ই ফেব্রুয়ারী ২০১০ইং দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকায় প্রকাশিত ।

ছড়াঃ-১০

বাংলা ভাষা
কিশোর দুলাল রায়

বাংলা আমার লক্ষ্য শহীদের
লক্ষ্য প্রাণের আশা,
বাংলা আমার মমতাময়ী
মায়ের ভালোবাসা ।
ভালো লাগে আমার
মায়ের বাংলা বুলি,
বাংলা আমার নীল আকাশে
রং করা এক তুলি ।
যুদ্ধের কথা শুনলে আমি
দুঃখ পাই নিজে,
বাংলা ভাষায় কথা বলি
 মধুর লাগে কি যে ।
ভাষার জন্য যারা জীবন
করে গেলে দান,
তোমাদের জানাই আমরা
শ্রদ্ধা ও সন্মান ।।

 বিঃ দ্রঃ এই ছড়াটি ৫ই ফেব্রুয়ারী ২০০৭ইং দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকায় প্রকাশিত ।

ছড়াঃ- ৯

শহীদদের দান
কিশোর দুলাল রায়

ভাষার জন্য জীবন দিলো
ইতিহাসে পাই,
কতো মায়ে ছেলে হারা
কতো বোনে ভাই ।
মিছিল দিয়ে,মিটিং দিয়ে
যুদ্ধ হলো শেষ,
অবশেষে পেলাম আমরা
সোনার বাংলাদেশ ।
ভাষার জন্য জীবন দিলো
ভাষা শহীদদের দান,
জয়ের নেশায় জীবন দিয়ে
রেখেছে দেশের মান ।
ভাষা শহীদদের ত্যাগের কথা
গাথা মনের খাতায়,
থাকবে তাদের নাম চিরদিন
ইতিহাসের পাতায় ।।

 বিঃ দ্রঃ ২০১১ইং ফেব্রুয়ারী মাসে রক্ত জবায় প্রকাশিত ।

ছড়াঃ- ৮

একুশের বেদনা 
কিশোর দুলাল রায় 

 আমি কি ভুলিতে পারি 
একুশে ফেব্রুয়ারী, 
ভাই হারানোর ব্যথা 
আমার ভাইয়ের কথা । 
আমি কি ভুলিতে পারি 
আমাদের গেছে ছাড়ি, 
একুশের কালো রাতে 
অস্ত্র নিয়ে হাতে । 
মায়ের চোখের পানি 
মুছবে না আর জানি, 
আসবে না ভাই ফিরে 
চলে গেছে বহুদুরে । 
স্লোগানে স্লোগানে ভাষার দাবি 
আন্দোলনের ফেব্রুয়ারী, 
ভাইয়ের রক্তে লাল হয়েছে 
আমি কি ভুলিতে পারি ।। 

 বিঃ দ্রঃ ২৩শে ফেব্রুয়ারী ২০১১ইং দৈনিক সংবাদ পত্রিকার খেলাঘর এর পাতায় প্রকাশিত ।

ছড়াঃ- ৭

শরৎ 
কিশোর দুলাল রায় 

 নীল আকাশে ভাসে 
সাদা মেঘের ভেলা, 
পুব আকাশে সূর্য হাসে 
শিশুরা করে খেলা । 
দক্ষিণা বাতাস বহে 
হাওয়ায় দোলে কাঁশফুল, 
স্রোত বহে আপন ধারায় 
নদী হারায় দুই কূল । 
বর্ষার পর শরৎ আসে 
জীবন তোলে জাগিয়ে, 
মিষ্টি মধুর রূপ দিয়ে 
মনকে তোলে সাজিয়ে । 
শারদীয় শরৎ নিশি 
তাঁরায় করে খেলা, 
শরতের আকাশে পূর্ণিমা 
মন করে আত্মভোলা ।। 

 বিঃ দ্রঃ ১১ই সেপ্টেম্বর ২০০৬ইং দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকায় প্রকাশিত ।

ছড়াঃ- ৬

শারদ উৎসব
কিশোর দুলাল রায়

তাকডুমা ডুম তাকডুমা ডুম
ঢুলি বাঁজায় ঢাক,
কার্তিক নাচে,গণেশ নাচে
তাকধিনা ধিন তাক ।
ধিন তাক তাক ধিন তাক তাক
ধিন তাক তাক ধিনা,
লক্ষী বাঁজায় শঙ্খ ধ্বনি
সরস্বতী বীণা ।
তাকধিনা ধিন তাকধিনা ধিন
তাকধিনা ধিন ধিন,
ময়না,টিয়া,বাবুই নাচে
কাল যে পুজোর দিন ।।

 বিঃ দ্রঃ ২০০৯ সালে বর্ণফুলের ৩য় সংখ্যায় প্রকাশিত ।

ছড়াঃ-৫

শারদ সকাল
কিশোর দুলাল রায়

 দক্ষিন হাওয়ায় চাষীর ক্ষেতে
নাচে ধানের ছড়া,
পাখিরা গান গায়
গানে আবেগ ভরা ।
দোয়েলের শিশ্ শুনে
জেগে উঠে ভোরে,
দেখি ছোট্ট পাখিরা
দল বেঁধে উড়ে ।
পাখিদের কিচির মিচির
শুনতে লাগে ভালো,
তখনও সূর্য মামা
ছড়ায় নি আলো ।।

ছড়াঃ-৪

এই দেশে
কিশোর দুলাল রায়

এই দেশে পাখি গায়
কতো গানের সুর,
পলাশের ঐ ডালে কোকিল
ডাকে সুমধুর ।
হই-হুল্লোর করে সবার
কেটে যায় বেলা,
এ দেশের মাটিতে
খেলি কতো খেলা ।
ফুল-ফল,পশু-পাখি
মনকে দেয় দোলা,
সবুজ শ্যামল প্রকৃতি
করে আত্মভোলা ।
বর্ষা এলে ভরে যায়
নদী-নালা জলে,
ঘরের চালে বসে পায়রা
কতো কথা বলে ।।

 বিঃ দ্রঃ এই ছড়াটি ১৩ই নভেম্বর ২০০৬ইং বাংলাবাজার পত্রিকায় প্রকাশিত ।

ছড়াঃ-৩

স্বাধীনতা 
আমার অহংকার
কিশোর দুলাল রায়

 বাংলা আমার ভাইয়ের আঁকা
সবুজ-শ্যামল ছবি,
নদীর মাঝে ঢেউয়ের বুকে
জেগে ওঠা রবি ।
বাংলা আমার মায়ের মুখে
ঘুম পাড়ানি গান,
ভাষার জন্য বুকের ভেতর
শক্ত কঠিন টান ।
বাংলা আমার মুক্ত আকাশ
মুক্ত পাখির নীড়,
স্বাধীন বাংলা পেলাম শেষে
হারিয়ে কতো বীর ।
মাতৃভাষায় কথা বলি
বাংলা মায়ের টানে,
কতো মধুর বুলি শুনি
আমরা গানে গানে ।
বাংলা আমার দেশের মাটির
মায়ের অধিকার,
বাংলাই আমার জন্মভূমি
বাংলাই অহংকার ।।

 বিঃ দ্রঃ এই ছড়াটি ২৫শে ফেব্রুয়ারী ২০০৭ইং দৈনিক আজকের কাগজ পত্রিকায় প্রকাশিত ।

ছড়াঃ-২

একুশে ফেব্রুয়ারী
কিশোর দুলাল রায়

 একুশে ফেব্রুয়ারীর
প্রভাত ফেরির গান,
যখন শুনি,তখন আমার
শিউরে ওঠে প্রাণ ।
যুদ্ধে শহীদ কারো বাবা
কারো আবার ভাই,
তাইতো আজ আমরা সবাই
বিজয়ের গান গাই ।
সেই দিনের কথা শুনলে
মনে দুঃখ পাই,
এসো আজ সবাই মিলে
ফুল দিতে যাই ।।

 বিঃ দ্রঃ ১০ই ফেব্রুয়ারী ২০১০ইং দৈনিক সংবাদ পত্রিকায় খেলাঘর এর পাতায় প্রকাশিত ।

Monday 28 May 2018

বর্ষাকালে

বিলের জলে শাপলা তোলা যেন সেই হারিয়ে যাওবেলা ছোট্ট বেলা।

ছড়াঃ-১

বৃষ্টি
কিশোর দুলাল রায়

বৃষ্টি পড়ে- ঝিম ঝিমা ঝিম
বৃষ্টি পড়ে- রিম ঝিমা ঝিম।
বৃষ্টি পড়ে- ঝম ঝম
বৃষ্টি পড়ে- ছম ছম ।
বৃষ্টি এল- বর্ষা আসে
বর্ষা এলে নৌকো ভাসে।
বর্ষা এলে ডাকে দেয়া
ফোটে কদম কেয়া,
মাঝি ভিজে কষ্টে পার করে খেয়া ।
জলে ভাসে শাঁপলা
সেও কি আর কম,
ঝিরি ঝিরি বৃষ্টি
নেয় না যে দম ।
দমকা হাওয়ায় বিদ্যুৎ চমকায়
গম গমাগম গম ।

 বিঃদ্রঃ ২৫-০৯-২০০৬ইং দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকায় প্রকাশিত
সীতাকুণ্ড,চট্রগ্রাম! ভ্রমন ২০১৮।
ছড়ায় জীবনের প্রথম পুরস্কার। অগ্নি ঝরা মার্চে ছড়ার আগুন সাহিত্য সভায় হুমায়ূন কবির ঢালী, এস এ শামীম, কিশোর দুলাল রায়, আদিত্য রুপু ।

Sunday 27 May 2018

ভাষা শহীদদের প্রতি রইলো বিনম্র শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা।
জাফলং, সিলেট।