Thursday 2 April 2020

কাঁঠাল খাওয়ার উপকারিতার পাশাপাশি পুষ্টিগুণ এবং স্বাস্থ্যগুণ সম্পর্কে জানতে পুরো আর্টিকেলটি দেখুন।
বাংলাদেশের যতগুলো উপকারী ফল জন্মে তারমধ্যে কাঁঠালের নাম সবার উপরের দিকে রয়েছে । কাঁঠাল বাংলাদেশে জন্মানো এমন একটি ফল যাতে রয়েছে প্রচুর পুষ্টিগুণ, ঔষধিগুণ ও উপকারিতা । মানব দেহের জন্য প্রয়োজনীয় সব উপাদান যেমন থায়ামিন, রিবোফ্লাভিন, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, আয়রনসহ বিভিন্ন প্রকারের পুষ্টি উপাদান।

এছাড়া  আমিষ, শর্করা এবং বিভিন্ন রকম ভিটামিনের ভান্ডার হচ্ছে এই কাঁঠাল ।তাই চলুন আজকে আমরা জেনে নিই স্বাস্থ্য গঠনে কাঁঠালের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা এবং অল্প কিছু অপকারিতা

কাঁঠালের উপকারিতাঃ

পটাশিয়ামের উৎস:  আগেই বলেছি কাঠাল বিভিন্ন খনিজ উপাদানে ভরপুর। তাই কাঁঠাল পটাশিয়ামের একটি উৎকৃষ্ট উৎস। ১০০ গ্রাম কাঁঠালে পটাশিয়ামের পরিমাণ ৩০৩ মিলিগ্রাম। পটাসিয়াম উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে । এজন্য কাঠালে উত্তর উচ্চ রক্তচাপে উপশম হয়

ফ্যাট কম:  কাঁঠালের ক্ষতিকারক ফ্যাটের পরিমাণ কম তাই কাঁঠাল খেলে ওজন বাড়ার খুব একটা আশঙ্কা থাকে না

নার্ভ এন্ড ডাইজেস্টঃ টেনশন,  নার্ভাসনেস এবং বদ হজম কমাতে সাহায্য করে কাঁঠাল।

হাড়ঃ  কাঁঠালে থাকে ম্যাগনেসিয়াম ক্যালসিয়ামের মতো হাড় গঠনে এবং শক্তিশালী করতে সহায়তা করে।

কোষ্ঠকাঠিন্যঃ কাঁঠাল একটি আঁশযুক্ত খাবার। এই আঁশ যা ফাইবার নামে পরিচিত তাতে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।

রক্তস্বল্পতাঃ কাঁঠালে রয়েছে খনিজ উপাদান আয়রন যা দেহের রক্তস্বল্পতা দূর করে

শিশু খাদ্য হিসেবেঃ ছয়মাস বয়সের পর থেকে ডাক্তারের পরামর্শ মতে মায়ের দুধের পাশাপাশি কাঁঠালের রস খাওয়ানো যেতে পারে। যাএকটি শিশুর বিভিন্ন খাদ্য চাহিহিদা পূরন করার পাশাপাশি ক্ষুধা নিরাময় করে।


গর্ভবতী এবং নতুন মায়ের জন্য উৎকৃষ্ট উপকারি খাদ্যঃ  গর্ভবতী মহিলারা কাঁঠাল খেলে তার স্বাস্থ্য স্বাভাবিক থাকে এবং গর্ভস্থসন্তানের বৃদ্ধি স্বাভাবিক। চিকিৎসকদের মতে প্রতিদিন 200 গ্রাম পাকা কাঁঠাল খেলে গর্ভবতী মহিলা ও তার গর্ভে ধারণ কিন্তু শিশুর সব ধরনের পুষ্টি উপাদান দূর হয় এছাড়া দুগ্ধদানকারী মা প্রতিদিন পাকা কাঁঠাল খেলে তার দুধের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়


কাঁঠালের পুষ্টিগুন স্বাস্থ্য উপকারিতা
কাঁঠালের পুষ্টিগুণঃ

ভিটামিন সি এবং ভিটামিন এঃ  ভিটামিন সি মানব দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি  চুল দাঁত ও দাঁতের মাড়ি সুস্থ রাখতে সহায়তা কর। আর এই ভিটামিন সি রয়েছে কাঁঠালে। এই ফলে থাকা ভিটামিন এ রাতকানা রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে।

ফাইটো-নিউট্রিয়েন্টসঃ  কাঁঠালে থাকা ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস আলসার ক্যান্সার উচ্চ রক্তচাপ এবং বার্ধক্য প্রতিরোধে প্রতিরোধে সহায়তা করে।

এন্টি অক্সিডেন্টঃ  মানব দেহ বুড়িয়ে যাওয়ার জন্য দায়ী হচ্ছে ফ্রি রেডিক্যালস আর কাঁঠালে থাকা এন্টি অক্সিডেন্ট ফ্রি রেডিক্যালস থেকে আমাদের দেহকে রক্ষা করে এছাড়াও আমাদের শরীরে সর্দি কাশি রোগ সংক্রমণ থেকে রক্ষা করা এই এন্টিঅক্সিডেন্ট এর কাজ।

ম্যাঙ্গানিজঃ কাঁঠালে থাকা প্রচুর পরিমাণে খনিজ উপাদান এবং ম্যাঙ্গানিজ যা রক্তে শর্করা বা চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

ভিটামিন বি৬ : কাঁঠালে থাকা ভিটামিন b6 হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।

কাঁঠালের ঔষধিগুণঃ

কাঁঠালের রয়েছে বিভিন্ন ঔষধি গুনাগুন কাঁঠাল গাছের শিকড় বিভিন্ন রোগের নিরাময় প্রতিশেধক এবং উপশমকারী।

এজমাঃ কাঁঠালের শেকড় হাঁপানি নিরাময় করতে সাহায্য করে।  যাদের হাঁপানি সমস্যা রয়েছে তারা কাঁঠালের শেকর সিদ্ধ করে তার পুষ্টি উপাদান গ্রহণ করলে তা তাদের রোগ এর প্রকোম কমাতে সহয়াত করে।


আমাদের জ্বর কেন হয়?
কাঁঠালের শেকড়  চর্ম রোগের সমস্যার সমাধান ও খুবই কার্যকারী ।

এছাড়া জ্বর এবং ডায়রিয়া নিরাময় ও কাঁঠালের শেকড় খুব ভালো উপকার করে।

কাঁঠালের অপকারিতাঃ

কাঁঠালের এত এত উপকারিতার মাঝেও তা খেতে কিছু জিনিশ মাথায় রাখতে হবে। কাঁঠালে প্রচুর পরিমান আমিষ থাকায় কাঠাল একটি গুরুপাক ফল। মানে আমিষের পরিমান বেশি থাকায় এটি হজম হতে সময় বেশি নেয়। অধিক পরিমাণে কাঠাল খেলে তা বদহজম হতে পারে। এছাড়া ডায়েবেটিক আক্রান্ত রোগীদের কাঁঠাল খাওয়ার বযাপারে সতর্ক এবং চিকিৎসক এর পরামর্শ মেনে চলা উচিত।

প্রেমের গল্প

সুখ দুঃখের গল্প প্রেমের আমি : আচ্ছা, পৃথিবীর সব প্রেমিকাই তার প্রেমিককে সিগারেট খেতে নিষেধ করে, নানা রকম ভয়ানক শর্ত জুড়ে দেয়! তুমি আমার সব বিষয়ে বিধি-নিষেধ আরোপ করলেও সিগারেট প্রসংগে কিছুই বলোনা, ব্যাপারটা কি বলো তো? তুমি আমায় নিষেধ করোনা কেন ?? সে : আমি নিষেধ করলেই তুমি সিগারেট ছেড়ে দিবে ? আমি: উমমম... (কিছুক্ষণ ভেবে চিন্তে) না! না আবার হ্যাঁ... সে: না আবার হ্যাঁ কেন ? আমি: নিষেধ করার সাথে সাথেই তো ছেড়ে দিতে পারব না (কিছুটা বিব্রত ভঙ্গিতে আমতা আমতা করে)! সে: আর হ্যাঁ কেন? আমি: তুমি একটা কাজ নিষেধ করবে আর আমি সেটা করবো ?? সে: হুমমম... এই কারণেই আমি তোমাকে নিষেধ করিনি। আমি: বুঝিনি, বুঝিয়ে বলো... সে: শোন, তোমাকে একদিন সিগারেট প্রসংগে জিজ্ঞেস করেছিলাম । তখনো তোমাকে আমি ভালবাসতে শুরু করিনি... তোমার মনে আছে ? আমি: নাহ্। কি জিজ্ঞেস করেছিলে ? আর আমি কি উত্তর দিয়েছিলাম ? সে: আমি জিজ্ঞেস করেছিলাম, সিগারেট কেন খান? কি মধু আছে এতে? তুমি বলেছিলে, কেন খাই জানিনা, তবে সিগারেট নিঃসঙ্গতার অনুষঙ্গ । হুমায়ুন আহমেদের ভাষায়, সিগারেট এক ধরণের আশ্রয়। আমি: তো ? সে: দ্যাখো, আমি জানি, আমি যদি তোমাকে নিষেধ করি, তুমি সিগারেট ছেড়ে দিবে। ৩-৪ দিন কিংবা এক সপ্তাহ তুমি সিগারেট খাবে না। কারণটা হলো, ঐ যে-তুমি বলেছিলে, সিগারেট নিঃসঙ্গতার অনুষঙ্গ, সিগারেট এক ধরণের আশ্রয়। এক সপ্তাহ পর তুমি আবার সিগারেট ধরবে। তখন হয়তো তুমি আমাকে বলবেওনা যে সিগারেট খাচ্ছ। কারণ তাতে আমি কষ্ট পাবো। আবার সিগারেট যেহেতু তোমার অনেক দিনের অভ্যাস এবং তোমার নিঃসঙ্গতার অনুষঙ্গ, তুমি সেটাকে ছাড়তেও পারবেনা। তখন কি হবে জানো? আমাকে মিথ্যে বলার কারণে তুমি নিজে নিজেকে অপরাধী ভাববে এবং এক সময় এই অপরাধবোধটাও আর কাজ করবেনা। আর অপরাধবোধ কাজ না করলে কি হবে জানো? তোমার-আমার মধ্যে বিশ্বাসটুকু হালকা হয়ে যাবে। আমি সেটা চাই না। আমি এও চাই না, তোমার আর মাঝখানে সিগারেট প্রতিদ্বন্দী হয়ে দাঁড়াক... আমি: (ওর কথায় পুরোপুরি তাজ্জব বনে গেছি) তুমি এত চিন্তা করেছ এটা নিয়ে? সে: হুমমম... অনেক ভেবেছি। আমি তোমার কাছ থেকে দোকানে আড্ডা মারা, সক্রিয় রাজনীতি করার ইচ্ছা, ওষুধ না খাওয়ার প্রবণতা, ক্লাস না করা, সারা-রাত ইন্টারনেটে বসে থাকা, সকালের ঘুম-সবই কেড়ে নিয়েছি। সিগারেটটাও নিতে পারতাম। কিন্তু ঐ যে, তোমার নিঃসঙ্গতার অনুষঙ্গ!! সিগারেটটাও যদি কেড়ে নিই, তাহলে তোমার নিজের আর কি থাকলো বলো? তাতে যদি তুমি আরো একলা হয়ে যাও... আমি: (আমার চোখ টলমল করছে ওর কথায়! স্রষ্টা আমার প্রতি এতটা করুণাময় হবেন ভাবিনি। ও এত মায়াবতী কেন ?) হুমমম... সে: হুমমম... কি? এখন আমি যেটা চাই সেটা শোন, তুমি আস্তে আস্তে সিগারেটটা ছেড়ে দাও। আমি খুব খুশি হবো... আমি তোমাকে জোর করব না। তুমি নিজের মত করে চেষ্টা করবে। একটু একটু করে কমাতে চেষ্টা করবে। তুমি যেভাবে পারো, সেভাবে প্ল্যান করে চেষ্টা করো। আমি লক্ষ্য করেছি, সিগারেটের প্রতি আসক্তির পাশাপাশি তোমার এক ধরণের মায়াও আছে। এত সুন্দর সিগারেট বক্স আর লাইটারই তার প্রমাণ। এটা স্বাভাবিক, এত দিনের পুরোনো অভ্যাস, মায়া থাকবেই। যেদিন তুমি একদম ছেড়ে দিতে পারবে সেদিন আমাকে বলো... আমি খুউব খুউব খুউব খুশী হবো। আমার চেয়ে খুশী আর কেউ হবেনা... আমি: হুমমম... চেষ্টা করবো, অবশ্যই করবো। সে: আমি কি তোমার মন খারাপ করিয়ে দিলাম? আমি: না, একদম নাহ্। কেন? সে: এমনি বললাম ... (তারপর অনেক্ষণ চুপ) আচ্ছা শোন... তোমায় খুব জরুরী একটা কথা বলতে ভুলে গেছি.... আমি: কি?? বলো... সে: কথাটা শুনে আবার রাগ করবে নাতো? আমি: রাগ করবো কেন?? (কিছুটা টেনশান হচ্ছে, বাসায় কি কোন প্রোপোজাল আসলো নাকি??) সে: (অনেক্ষণ চুপ) ...... আমি তোমায় ভালোবাসি, অনেক অনেক অনেক বেশি ভালোবাসি... আমি কিছু বলার আগেই লাইনটা ও কেটে দিয়েছে। তবু ফোন সেটটা হাতে নিয়ে অনেক্ষণ বসে রইলাম চুপচাপ... তোমার আর আমার মাঝখানে সিগারেট প্রতিদ্বন্দী হতে পারেনা ! তুমি মিশে থাকো আমার শুদ্ধতার পৃথিবীতে... সিগারেটের ধোঁয়ায় সে পৃথিবীটা আমি কলুষিতকরবোনা। । (উৎসর্গ: আমার আজন্ম আকাঙ্খিত সৌভাগ্যের দেবী'কে, যে আছে বলে পৃথিবীটা এখনো অক্সিজেনহীন হয়ে যায়নি...)